খেলাধুলা ডেস্ক: হোম এবং অ্যাওয়ে মিলিয়ে টানা তিনটি সিরিজ কোচ ছাড়াই শেষ করল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। তিন সিরিজে সবচেয়ে বড় সাফল্য নিদাহাস ট্রফির ঘটনাবহুল ফাইনালে শেষ বলের হারে রানার্সআপ হওয়া। এই সিরিজে ভারপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ক্যারিবিয়ান কিংবদন্তি কোর্টনি ওয়ালশ। আগামী দুই মাস কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই টাইগারদের। তাই কোচ নিয়োগেও ঢিলেঢালা ভাব বিসিবির।
দেশের ক্রিকেটের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি অবশ্য পথ চেয়ে আছে গ্যারি কারস্টেনের। দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক এই মহাতারকা কোচ হিসেবেও সফল। তার কোচিংয়ে টেস্ট র্যাংকিংয়ে প্রথমবার শীর্ষে উঠেছিল ভারত। জিতেছিল ২০১১ বিশ্বকাপ। এরপর কোচিং করিয়ে নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকাকেও টেস্ট র্যাংকিংয়ের শীর্ষে তুলেছিলেন তিনি। কারস্টেন বর্তমানে আইপিএল দল রয়্যাল চালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের যুগে হাই প্রোফাইল কোচেরা সাধারণত কোনো জাতীয় দলের দায়িত্ব নিতে আগ্রহী হন না। কারণ, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দুই মাসে তারা যা আয় করেন, তা কোনো দেশের জাতীয় দল এক বছরে দেবে কিনা সন্দেহ। বাংলাদেশের প্রস্তাবেও তাই নেতিবাচক জবাবই দিয়েছিলেন কারস্টেন। এরপর বিসিবি তাকে অন্যভাবে জাতীয় দলের সঙ্গে যুক্ত করার চিন্তা করে। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেটারদের দায়িত্ব পালন করা আরেক দক্ষিণ আফ্রিকান এডি বারলো যেমন ‘পরামর্শক’ হিসেবে ছিলেন, তেমনভাবেই কারস্টেনকে চায় বিসিবি।
শুধু জাতীয় দল নয়, দেশের ক্রিকেটের সামগ্রিক উন্নয়নেও কারস্টেনকে কাজে লাগাতে চায় বিসিবি। বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুসের ভাষায়, ‘আমরা কারস্টেনকে চাইছি পরামর্শক হিসেবে। জাতীয় দল শুধু নয়, ‘এ’ দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দলসহ অন্যান্য দল, অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্রিকেটের সামগ্রিক উন্নয়নে পরামর্শ দেবেন তিনি। এক সময় এডি বারলো যে ভূমিকায় ছিলেন, সেভাবেই তাকে কাজে লাগাতে চাই আমরা। আইপিএল শেষ হলে আলোচনা করে তাকে পূর্ণ মেয়াদেই নিয়োগ দেওয়া হবে।’
কিন্তু কবে নাগাদ একজন কোচ পাবে টাইগাররা? নাকি ওয়ালশকেই স্থায়ী করা হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে জালাল ইউনুস বললেন, ‘কোচের খোঁজ চলছে। কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলেছি আমরা। আমাদের যেসব চাওয়া আছে, সেসব পূরণ করতে পারছে না অনেকেই। এজন্য দেরি হচ্ছে। পাশাপাশি ভালো সহকারী কোচও খুঁজছি আমরা। আশা করি, জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের আগেই আমরা কোচ পেয়ে যাব।’